ওভাল টেস্টের প্রথম দিন যেন আবহাওয়া ও পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধই করল টিম ইন্ডিয়া। বৃষ্টির হানা, মেঘলা আকাশ, সবুজ ঘাসে ঢাকা গ্রিনটপ উইকেট এবং সেই সঙ্গে সুইং— এমন এক কঠিন আবহেই শুরু হল সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট। শুভমন গিলের টস হারের ধারা অব্যাহত থাকায় প্রথমে ব্যাট করতে নামতে হয় ভারতকে, আর সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে, তা শুরুতেই বোঝা গিয়েছিল (Karun Nair)।
প্রথম চার ম্যাচে ফ্ল্যাট ট্র্যাকে খেলা ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য ওভালের সুইং-সহায়ক পিচ ছিল একেবারেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা। শুরুতেই যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়ে ভারতের। আরও বড় ধাক্কা আসে লোকেশ রাহুলের আউটের মাধ্যমে। সতর্ক ডিফেন্স করেও প্লেড অন হয়ে ফেরেন রাহুল। তখন ভারতের স্কোর ৩৮ রানে ২ উইকেট (Karun Nair)।
এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন শুভমন গিল ও ডেব্যুট্যান্ট সাই সুদর্শন। কিন্তু শুভমনের এক ভুল সিদ্ধান্তেই তার ইনিংস থামে রান আউট হয়ে। বল ছোঁয়ার পরেও সিঙ্গল নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করেন গিল, পরে বুঝতে পারেন সেটা সম্ভব নয়, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে (Karun Nair)।
সাই সুদর্শন বেশ ধৈর্য সহকারে ব্যাট করেন, কিন্তু তিনি একশোর বেশি বল খেলার পরেও উইকেটে নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারেননি— ঠিক যেমনটা ইংল্যান্ডের পিচে প্রায়শই বলা হয়, “কেউই পুরোপুরি সেট হন না।”
রবীন্দ্র জাডেজা, যিনি পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে ভরসা জুগিয়েছেন, এবার ব্যর্থ হন। ফলে মিডল অর্ডারও ভেঙে পড়ে। কিন্তু তখনই দৃশ্যপটে আবির্ভাব করুণ নায়ার (Karun Nair) ও ওয়াশিংটন সুন্দরের। একদিকে দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলতে নামা করুণ নায়ার, অন্যদিকে টেলএন্ডে ব্যাটে ভরসা জোগানো সুন্দর— দু’জনের জুটিতে খানিকটা হলেও স্বস্তি ফিরে পায় ভারত।
বিশেষ করে করুণ নায়ার (Karun Nair) , যিনি ওভাল মাঠ খুব ভালো চেনেন কাউন্টি খেলার সুবাদে, দুরন্ত এক হাফসেঞ্চুরি করে দলকে লড়াইয়ে ফেরান। ৩ হাজার ১৪৯ দিন পর টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটে অর্ধশতক আসে, যা এই প্রত্যাবর্তনকে করে তোলে অনেক বেশি অর্থবহ। দিন শেষে ভারত সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ২০৪ রান। করুণ নায়ার এখনও ক্রিজে রয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য ইনিংসটিকে শতরানে রূপান্তর করে প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে তোলা।
যদি দ্বিতীয় দিনে আবহাওয়া কিছুটা সহায়ক হয়, ওভারলোড ইংল্যান্ড বোলিং অ্যাটাকের বিরুদ্ধে এই রান আরও মূল্যবান হয়ে উঠতে পারে। তবে এটা একেবারে নিশ্চিত— এই উইকেটে রান করা সহজ হবে না ইংল্যান্ড ব্যাটারদের জন্যও।