বিশ্ব দাবা দুনিয়ায় ইতিহাস গড়লেন মাত্র ১৯ বছরের এক ভারতীয় মেয়ে (Chess WC)। ফিডে মহিলা বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য সাফল্য এনে দিলেন দিব্যা দেশমুখ। কনেরু হাম্পির মতো কিংবদন্তিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মুকুট ছিনিয়ে নিলেন এই টিনএজার (Chess WC)। প্রথমে ক্লাসিক দু’টি রাউন্ড ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে র্যাপিড খেলার মাধ্যমে নির্ধারিত হয় জয়-পরাজয়। আর সেখানেই বাজিমাত করলেন দিব্যা (Chess WC)।
টুর্নামেন্টে পা রেখেছিলেন ১৮ নম্বর বাছাই হিসেবে। কেউ তাঁকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ধরেই দেখেনি। অথচ একের পর এক চমক দিতে দিতে পৌঁছে গেলেন ফাইনালে। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দাবার এক নম্বর মুখ হাম্পিকে হারিয়ে লিখে ফেললেন ইতিহাস (Chess WC)। শুধু বিশ্বকাপ জেতাই নয়, সেই সঙ্গে অর্জন করলেন বহু প্রতীক্ষিত গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম।
র্যাপিড টাইব্রেকারে প্রথম খেলায় দিব্যা সাদা ঘুঁটি নিয়ে ড্র করেন হাম্পির সঙ্গে (Chess WC)। কিন্তু দ্বিতীয় খেলায় কালো ঘুঁটি নিয়েই চাপে ফেলেন হাম্পিকে। ছোট ছোট ভুলের সুযোগ নিয়েই এক সময়ের অপ্রতিরোধ্য দাবাড়ুকে হারিয়ে দেন দিব্যা। চাপের মুখেও তাঁর মস্তিষ্ক ছিল ঠান্ডা, চাল ছিল নিখুঁত—এই কিশোরীর পরিণত মানসিকতা বিস্ময় জাগিয়েছে দাবা মহলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাম্পিকে নিজের কৌশলের জালে জড়াতে পেরেছিলেন দিব্যা—এটাই তাঁর জয়ের মূল চাবিকাঠি ।
টুর্নামেন্ট শুরুর সময় কেউ দিব্যার নাম জানতেন না। কিন্তু এখন তিনিই আন্তর্জাতিক দাবা মঞ্চের নতুন তারকা। ম্যাচ জেতার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তবুও সেই চোখের জল ছিল গর্ব আর তৃপ্তির। একটি স্বপ্নের বাস্তব রূপ—ভারতীয় দাবায় যে নবজাগরণের সূচনা হয়েছে, দিব্যার জয় যেন তার সবচেয়ে উজ্জ্বল নিদর্শন।