সফল হতে চায় না এমন মানুষ নেই (Successful life)। সবাই চায় নিজের পরিশ্রম, মেধা আর অধ্যাবসায়ের জোরে জীবনে এগিয়ে যেতে। কিন্তু শুধু ইচ্ছে করলেই হয় না—সাফল্যের পথে নানান বাধা এসে দাঁড়ায়। অনেক সময় খুব ছোট ছোট, আপাতদৃষ্টিতে তুচ্ছ কিছু অভ্যাসই হতে পারে সাফল্যের চাবিকাঠি (Successful life)।
প্রথমেই মনে রাখতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক আর কমেন্ট দিয়ে সাফল্য মাপা যায় না (Successful life)। আজকাল অনেকেই নতুন জামা থেকে শুরু করে গাড়ি—সবকিছুই অনলাইনে শেয়ার করেন। কিন্তু যারা লাইক দেন বা কমেন্ট করেন, তারা জানেন না সেই সাফল্যের পেছনে কতটা পরিশ্রম আর ত্যাগ লুকিয়ে আছে (Successful life)। তাই অন্যের স্বীকৃতির চেয়ে নিজের অর্জন নিজেই উদযাপন করুন এবং নিজের উপর ভরসা রাখুন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—শুনতে শেখা (Successful life)। অনেকেই উত্তর দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন, ফলে অন্যের কথা ভালো করে শোনেন না। আগে মন দিয়ে শুনুন, বুঝুন, তারপর প্রশ্ন করুন বা উত্তর দিন। এতে ভুল বোঝাবুঝি কমে যাবে।
জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন। আগে করা কোনো কাজ বা আচরণ আপনার পরিচিতদের উপর কেমন প্রভাব ফেলেছিল তা মনে রাখুন, যাতে ভবিষ্যতে ভুল পুনরাবৃত্তি না হয়। প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ভেবে নিন।
এছাড়া, অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার আগে নিজের মনের কথা শুনুন। একা থাকাকে বিরক্তিকর না ভেবে সেই সময়টাকে নিজের উন্নতিতে কাজে লাগান। অনেক সময় একাকীত্বই হয়ে উঠতে পারে আপনার শক্তি সঞ্চয়ের জায়গা।
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় আশেপাশের অনেক কিছুই আমরা খেয়াল করি না। কিন্তু চারপাশে কী ঘটছে তা নজরে রাখা জরুরি, কারণ প্রতিটি ঘটনা থেকেই কিছু না কিছু শেখার থাকে।
সবশেষে, নিজের মূল্য বোঝা খুব দরকার। সবার জন্য সবসময় ‘অ্যাভেলেবল’ হয়ে যাবেন না। যাদের কাছে আপনি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, তাদের সঙ্গেই সময় কাটান। নিজের সীমানা তৈরি করুন, তাতে আপনার সময়, শক্তি এবং মানসিক শান্তি দুটোই বজায় থাকবে।