Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • ভাইরাল
  • ৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানার ভয়! সেলিব্রিটি পরিবার রাতারাতি অস্ট্রেলিয়া পালিয়ে গেলেন
অফবিট

৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানার ভয়! সেলিব্রিটি পরিবার রাতারাতি অস্ট্রেলিয়া পালিয়ে গেলেন

austrain influencer
Email :4

অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) ১৬ বছরের নীচে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে চলেছে। আর সেই আইন কার্যকর হওয়ার আগেই দেশ ছেড়ে লন্ডনে পাড়ি দিলেন দেশের অন্যতম বিখ্যাত ডিজিটাল পরিবার— ‘এম্পায়ার ফ্যামিলি’। ইউটিউব, টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁদের কোটি কোটি ফলোয়ার। দুই মা, বেক এবং বেক লি, তাঁদের ১৭ বছরের ছেলে প্রেসলি এবং ১৪ বছরের মেয়ে শার্লট— এই চারজনই অনলাইনে তাঁদের দিনযাপনের ভিডিও পোস্ট করে থাকেন (Australia)।

পরিবারের লন্ডনযাত্রা ঘিরে এখন সরগরম অস্ট্রেলিয়া (Australia) এবং সোশ্যাল মিডিয়া দুনিয়া। পরিবারের এক মা বেক জানিয়েছেন, “আইনের উদ্দেশ্য আমরা বুঝি। ইন্টারনেটে শিশুদের সুরক্ষা জরুরি। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা চালু করার পদ্ধতি এখনও স্পষ্ট নয়। এর ফলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে।” তিনি আরও বলেন (Australia), “আমরা ইন্টারনেটকে ভাল কাজে ব্যবহার করি। অনেক তরুণ প্রজন্মেরই ভবিষ্যত এই প্ল্যাটফর্মের উপর দাঁড়ানো। তাই আপাতত লন্ডনে থাকা নিরাপদ মনে হয়েছে।”

অন্য আর এক মা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এখন আর আগের মতো শুধুই বিনোদনের জায়গা নয়। বহু তরুণ আজ এই মাধ্যম দিয়ে সমাজ বদলে ফেলছে, নিজেদের জগৎ তৈরি করছে, উপার্জন করছে।

পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য শার্লটের ইউটিউবে প্রায় পাঁচ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার, টিকটকে তিন লক্ষের মতো অনুসারী, আর ইনস্টাগ্রামেও রয়েছে দুই লক্ষের কাছাকাছি ফলোয়ার। তাঁদের মূল চ্যানেল ‘এম্পায়ার ফ্যামিলি’-তে ১.৮ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার। আর প্রেসলির ব্যক্তিগত চ্যানেলে ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ২.৮ মিলিয়ন।

অস্ট্রেলিয়ার (Australia) নতুন আইনে বলা হয়েছে, টিকটক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাটসহ সব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে ১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট রোখতে হবে। আইনের লক্ষ্য শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ এবং গোপনীয়তা সুরক্ষা। আইন ভাঙলে প্ল্যাটফর্মগুলিকে দিতে হবে ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা।

তবে সরকার এখনও জানায়নি কীভাবে এই বয়স যাচাই করা হবে। হতে পারে আইডি ভেরিফিকেশন, প্যারেন্টাল কনসেন্ট বা ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি— যা নিয়ে আরেক বিরাট বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। অনেকেই বলছেন, শিশুদের নিরাপত্তা জরুরি হলেও, এভাবে ডিজিটাল স্বাধীনতায় কাঁচি চালানো সমাধান নয়।

এই সব কারণেই জনপ্রিয় এই পরিবার আপাতত নিজেদের কেরিয়ারের স্বার্থে লন্ডনে নতুন জীবন শুরু করেছে। প্রশ্ন একটাই— এই আইন কি সত্যিই বাচ্চাদের নিরাপদ করবে, নাকি ভবিষ্যতের তরুণ ক্রিয়েটরদের স্বপ্ন থামিয়ে দেবে?

অনলাইন দুনিয়ার চোখ এখন অস্ট্রেলিয়ার দিকে। ডিসেম্বরের পর পরিস্থিতি কোন পথে এগোয়, সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts