দিল্লিতে (Delhi Police) পরিচয় পরিবর্তন করে বসবাস করছিলেন ঝাড়খণ্ডের এক প্রাক্তন নারী নকশাল যোদ্ধা। দীর্ঘদিন তদন্ত চালিয়ে অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) অপরাধ শাখা। জানা গেছে, তিনি আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে একাধিক এনকাউন্টারে জড়িত ছিলেন (Delhi Police)।
পরিচয় বদলে দিল্লিতে বসবাস, পুলিশের অভিযান
গ্রেফতার হওয়া ওই নারীর বয়স ২৩ বছর এবং তিনি ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার কুদাবুরু গ্রামের বাসিন্দা। সিপিআই (মাওবাদী) গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে তিনি রমেশের নেতৃত্বে নকশাল বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে নিজের আসল পরিচয় গোপন করে মিথ্যা নাম ব্যবহার করে দিল্লির পিতমপুরা এলাকায় বাস করছিলেন এবং ঝাড়ুদারের কাজ করতেন।
দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাঁকে ধরতে অভিযান চালায়। অবশেষে, দিল্লির পিতমপুরার মহারাণা প্রতাপ এনক্লেভ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
শৈশব থেকেই মাওবাদী প্রশিক্ষণ, অস্ত্র চালনায় দক্ষ
গ্রেফতার হওয়া ওই নারী নকশালবাদী একজন কৃষক পরিবারের সন্তান। তাঁর তিন ভাই ও দুই বোন রয়েছে এবং তিনি পরিবারের সবচেয়ে বড় সদস্য। মাত্র ১০ বছর বয়সে মাওবাদীদের সংস্পর্শে আসেন এবং ২০১৬ সালে সিপিআই মাওবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হন।
তিনি পাঁচ বছর ধরে কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যান, যেখানে SLR, INSAS, LMG, হ্যান্ড গ্রেনেড এবং ৩০৩ রাইফেলের মতো আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নেন। জানা গেছে, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে তিনটি বড় এনকাউন্টারে তিনি জড়িত ছিলেন।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড, তদন্ত জারি
ঝাড়খণ্ডের সোনুয়া থানার এক মামলায় তাঁকে মোস্ট ওয়ান্টেড হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। পুলিশের অনুমান, তিনি দীর্ঘদিন দিল্লিতে আত্মগোপনে ছিলেন এবং পরিচয় পরিবর্তন করে সাধারণ জীবনযাপন করছিলেন।
বর্তমানে দিল্লি পুলিশ ও ঝাড়খণ্ড পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে এবং তাঁর সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।