যুক্তরাষ্ট্রে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রযুক্তি কোটিপতি ও টেসলা সিইও এলন মাস্কের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব (Trump Vs Musk) এখন জাতীয় রাজনীতিতে উত্তাল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ, যিনি ট্রাম্প ও মাস্ক—উভয়েরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তিনি জানিয়েছেন Oval Office-এ বসে থাকা অবস্থায় ট্রাম্প কীভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন মাস্কের বিস্ফোরক (Trump Vs Musk) মন্তব্য শুনে।
ট্যাক্স ও ব্যয় সংক্রান্ত ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বিল নিয়ে হোয়াইট হাউজের বিরুদ্ধে মাস্কের (Trump Vs Musk) সমালোচনার পর শুরু হয় এই দ্বন্দ্ব। এলন মাস্ক দাবি করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় সম্ভব হয়েছে তার সাহায্যে, এবং এমনকি ট্রাম্পের নাম যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনের ফাইলেও ছিল—এই মন্তব্যে রীতিমতো তুফান ওঠে।
নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টেড ক্রুজ বলেন, “আমি Oval Office-এ বসে ছিলাম যখন ঘটনাগুলো ঘটছিল। ট্রাম্প তখন খুব রেগে গিয়েছিলেন, তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। মাস্ক (Trump Vs Musk) একের পর এক কঠিন ও তীব্র মন্তব্য করছিলেন। এটা ছিল একদম কাঁচা ও ব্যক্তিগত আক্রমণ।”
ক্রুজ আরও বলেন, “দুইজনই আমার ভালো (Trump Vs Musk) বন্ধু। এটা এমন একটা পরিস্থিতি, যেখানে মনে হচ্ছে মা-বাবা ডিভোর্স নিচ্ছেন আর সন্তান হিসেবে আমি কেবল চাই তারা চেঁচামেচি বন্ধ করুক।”
দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয় যখন ট্রাম্প (Trump Vs Musk) হুমকি দেন, মাস্কের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সরকারের চুক্তি বাতিল করবেন। মাস্ক বলেন, “আমার সাহায্য ছাড়া ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে যেতেন, ডেমোক্র্যাটরা হাউজ নিয়ন্ত্রণ করত এবং সিনেটে ৫১-৪৯ ব্যবধানে এগিয়ে থাকত।”
মাস্কের এপস্টিন সংক্রান্ত টুইট, যা পরবর্তীতে মুছে ফেলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তদন্তের দাবি জাগিয়ে তোলে। তবে, ক্ষতি ততক্ষণে হয়ে গিয়েছিল। মাস্কের পোস্ট মুছে (Trump Vs Musk) ফেলার ঘটনাকে অনেকে সমঝোতার ইঙ্গিত হিসেবে দেখলেও ট্রাম্প পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তার মাস্কের সঙ্গে আর কোনও কথাবার্তা চালানোর ইচ্ছা নেই।
ট্রাম্প (Trump Vs Musk) সতর্ক করে বলেন, যদি মাস্ক ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের তহবিল জোগানোর হুমকি বাস্তবে রূপ দেন, তবে এর “গুরুতর পরিণতি” হবে। তিনি মাস্ককে “প্রেসিডেন্ট পদকে অসম্মানিত করেছেন” বলেও অভিযোগ তোলেন।
মাস্ক, রিপাবলিকানদের “ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট”-কে “ঘৃণ্য এবং জাতির জন্য বিপজ্জনক” হিসেবে আখ্যা দেন, এবং এমনকি ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে মত দেন। তবে ট্রাম্প বলেন, মাস্কের বিরোধিতার ফলে সিনেটে বিল আটকে পড়বে—এমন আশঙ্কা তার নেই।
