পাকিস্তান ফের একবার ‘নোটিস টু এয়ারমেন’ (NOTAM) জারি করেছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ রাহিম ইয়ার খান এয়ারবেসের জন্য, যেটি মে মাসে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)-এর দ্বিতীয় ধাপে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলার মাধ্যমে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
ওএসইনটি (OSINT) বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সায়মন এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “পাকিস্তান আবারও রাহিম ইয়ার খান এয়ারবেসের জন্য NOTAM জারি করেছে। যেটি মে মাসে ভারতের হামলায় ধ্বংস হয়েছিল, তা এখনও চালু হয়নি এবং অন্তত ৪ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। (Operation Sindoor)”
‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) ছিল ভারতের পাল্টা সামরিক অভিযান, যা পাকিস্তান থেকে চালানো সন্ত্রাসবাদী হামলা ও সামরিক এবং সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণের প্রতিশোধে শুরু হয় ৭ মে। প্রথম ধাপে ভারত পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে, আর দ্বিতীয় ধাপে (Operation Sindoor) আঘাত হানে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পরিকাঠামোর উপর—তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই রাহিম ইয়ার খান এয়ারবেস।
এই হামলার কিছুদিন পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থানের বিকানেরে এক জনসভায় বলেন, “পাকিস্তানের রাহিম ইয়ার খান এয়ারবেস এখনও ICU-তে আছে, কবে ঠিক হবে কেউ জানে না।”
এই এয়ারবেস (Operation Sindoor) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি কৌশলগত গুরুত্বসম্পন্ন বিমানঘাঁটি। এটি একই নামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে অবস্থিত। ভারতীয় মিসাইল হানায় রানওয়েতে বিশাল ক্ষতি হয়, যা পাকিস্তানের বিমান সেনার কার্যক্ষমতায় বড় আঘাত হানে।
পরে পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAA) ঘোষণা করে যে, রানওয়ে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য অচল থাকবে। ১০ মে সন্ধ্যায় একটি অফিসিয়াল NOTAM জারি হয়, যাতে বলা হয় ১০ মে বিকেল ৪টা (পাকিস্তান সময়) থেকে ১৮ মে সকাল ৪:৫৯ পর্যন্ত রানওয়ে বন্ধ থাকবে।
কিন্তু এখন সেই সময়সীমা আরও বাড়িয়ে ৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মানে এই এয়ারবেস এখনও মেরামত হয়নি এবং কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।
ভারত সরকার আগেই জানিয়েছিল, এই হামলা অত্যন্ত হিসেব করে করা হয়েছিল যাতে পাকিস্তানের সামরিক শক্তিকে দুর্বল করা যায়, অথচ সাধারণ মানুষের ক্ষতি না হয় (Operation Sindoor)।