ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ শনিবার জানিয়েছেন, গাজা থেকে থাই বন্দি নাত্তাপং পিন্টার (Thai Hostage) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলার সময় অপহৃত হয়েছিলেন তিনি (Thai Hostage)।
প্যালেস্টিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘মুজাহিদিন ব্রিগেডস’-এর কাছে তাঁর (Thai Hostage) মৃতদেহ ছিল এবং তা দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। থাইল্যান্ডে তাঁর পরিবারকে ইতোমধ্যে খবর দেওয়া হয়েছে।
পিন্টা (Thai Hostage) একজন কৃষি শ্রমিক ছিলেন এবং তিনি ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে কিবুত্স নির ওজ নামক একটি ছোট গ্রামে কাজ করতেন। এই গ্রামটি হামাসের আক্রমণের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল, যেখানে প্রতি চারজন বাসিন্দার মধ্যে একজন নিহত বা অপহৃত হয়েছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পিন্টাকে (Thai Hostage) জীবিত অবস্থায় অপহরণ করা হয়েছিল, কিন্তু পরে তাঁকে তাঁর অপহরণকারীরাই হত্যা করে। একইসঙ্গে আরও দুইজন ইসরায়েলি-আমেরিকানের মৃতদেহও সম্প্রতি গাজা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাঁদের একইভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে মুজাহিদিন ব্রিগেডস গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলে ১,২০০ জনকে হত্যা করে, যা ছিল দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। সেই দিন ২৫১ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে এখনও ৫৫ জন নিখোঁজ, এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০ জন এখনও জীবিত।
এই হামলার জবাবে ইসরায়েল যে সামরিক অভিযান শুরু করে, তাতে এখন পর্যন্ত গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য বিভাগ অনুযায়ী অন্তত ৫৪,০০০ প্যালেস্টিনীয় নিহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা, ২০ লক্ষের বেশি জনসংখ্যার প্রায় সবাই গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে।