ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (Israel Army) দাবি করেছে, গাজা শহরের খান ইউনিসে অবস্থিত ইউরোপিয়ান হাসপাতালের নিচে হামাসের একটি বৃহৎ সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক তারা আবিষ্কার করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, এই সুড়ঙ্গটি ছিল হামাসের সিনিয়র নেতাদের জন্য একটি গোপন কমান্ড সেন্টার, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করা হতো।
শনিবার (Israel Army) একটি ভিডিও প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ, যেখানে হাসপাতালের নিচে নির্মিত একটি অত্যাধুনিক সুড়ঙ্গের চিত্র দেখা যায়। ভিডিওতে অস্ত্রশস্ত্র ও গোয়েন্দা নথি থাকার দাবিও করা হয়। এই অভিযানটি চালায় ইসরায়েলের ৩৬তম ডিভিশন, গোয়েন্দা শাখার নির্দেশনায়, গোলানি ব্রিগেড, ইয়াহালোম ইউনিট এবং বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।

IDF-এর (Israel Army) বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজার খান ইউনিসে ইউরোপিয়ান হাসপাতালের নিচে একটি সুড়ঙ্গপথ খুঁজে পাওয়া গেছে, যেখানে কমান্ড সেন্টার, অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে। হামাস আবারও প্রমাণ করেছে, তারা সাধারণ মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে হাসপাতাল ব্যবহার করছে সন্ত্রাসী কাজে।”
এর আগেও ইসরায়েল (Israel Army) গাজার বিভিন্ন হাসপাতালের নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ থাকার দাবি করেছিল। ২০২৩ সালে আল শিফা হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ থাকার প্রমাণ দেখায় IDF, যদিও সেসময় হাসপাতালের চিকিৎসক ও হামাস কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। যুদ্ধের ভয়াবহতায় আল শিফা হাসপাতাল প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত।
⭕️UNCOVERED: An underground tunnel route beneath the European Hospital in Khan Yunis, Gaza.
In a special, targeted operation, IDF soldiers located an underground tunnel route containing numerous findings such as command and control rooms, weapons, and additional intelligence… pic.twitter.com/7bPM5ozHN8
— Israel Defense Forces (@IDF) June 7, 2025
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয় এবং বহু মানুষকে জিম্মি করে ফেলা হয়। এর পরপরই ইসরায়েলের সামরিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়, যার ফলে গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, এখন পর্যন্ত ৫৪,০০০-রও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলের নতুন দফার হামলায় আরও অন্তত ৪,৪০২ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য দপ্তর।
যদিও কিছু সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বন্দি বিনিময় হয়েছিল, তবুও লড়াই থেমে থাকেনি। এই যুদ্ধ দিন দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।