বিজেপি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফা দিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার (Youtuber) ও রাজনীতিক মনীশ কাশ্যপ। সম্প্রতি একটি ফেসবুক লাইভে তিনি আবেগঘন ভাষণে নিজেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। লাইভে তিনি স্পষ্ট বলেন, “আমি বিজেপিতে থেকে নিজেকেই রক্ষা করতে পারিনি, তাহলে অন্যকে কীভাবে সাহায্য করব?”—এই প্রশ্ন তুলেই তিনি দল ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।
মনীশ জানান, বিজেপির সদস্য (Youtuber) থাকাকালীন তিনি নিজেকে অসহায় এবং অকার্যকর মনে করছিলেন। দল তাঁর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলেই ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে তিনি এটাও বলেন যে, ভবিষ্যতেও তিনি (Youtuber) সমাজের কথা বলবেন, আওয়াজ তুলবেন—তবে তা অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে এবং অন্যভাবে। সরাসরি কিছু না বললেও, তিনি একপ্রকার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র বা অন্য কোনও রাজনৈতিক ব্যানারে প্রার্থী হতে পারেন।
উল্লেখ্য, মনীশ কাশ্যপ ২০২০ সালে বিহারের চনপাটিয়া বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচন লড়েছিলেন। সেই সময় তাঁর নাম ছিল ‘ত্রিপুরারী কুমার তিওয়ারি’, যা তাঁর সরকারিভাবে নথিভুক্ত নাম। ২০১৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন তিনি।
গত বছর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মনীশ ((Youtuber) ), দলের দুই শীর্ষ নেতা মনোজ তিওয়ারি এবং অনিল বালুনির উপস্থিতিতে। তবে এরপর তাঁর জীবনে আসে বিতর্ক। একটি ভুয়ো ভিডিও পোস্ট করে মনীশ কাশ্যপ দাবি করেন যে, তামিলনাড়ুতে বিহারের অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। ভিডিও ভাইরাল হতেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তদন্তের নির্দেশ দেন।
এই অভিযোগের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় তামিলনাড়ু সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তামিলনাড়ুতে বিহারি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কোনও হেনস্থা হয়নি। তামিলনাড়ুর ডিজিপি শৈলেন্দ্র বাবু বলেন, “এই ভিডিওগুলি মিথ্যে এবং বিভ্রান্তিকর। বাস্তব ঘটনাকে বিকৃত করে তা তুলে ধরা হয়েছে।”
শেষমেশ, ভুয়ো ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন মনীশ কাশ্যপ। পরে মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান।