আরসিবি-র আইপিএল জয়ের আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হল শোকাবহ Bengaluru Stampede–এ। বেঙ্গালুরু শহরের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বুধবার আরসিবির জয় উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হঠাৎ হুড়োহুড়িতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর শহরজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া।
ঘটনায় প্রাণ হারানোদের একজন ভুমিক, ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র এবং আরসিবির একনিষ্ঠ ভক্ত। তাঁকে হারিয়ে তাঁর বাবা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে ভেঙে পড়ে বলেন, “আমার একমাত্র ছেলেকে হারালাম। ও না জানিয়েই এখানে চলে এসেছিল। দয়া করে আমার ছেলের শরীরে পোস্টমর্টেম কোরো না। আমাকে শুধু ওর দেহটা ফেরত দাও। টুকরো টুকরো করে কেটো না।”
বুধবার বিকেলে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বিশাল ভিড় জমে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গেট খুলতেই সবাই একসঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করে। অপ্রতুল প্রবেশপথ, বিপর্যস্ত জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং বিভ্রান্তিকর বার্তা এই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায় (Bengaluru Stampede)।
বিকেল ৫টা নাগাদ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ হাতের বাইরে চলে যায় এবং স্পষ্ট হয় মৃত্যুর মর্মান্তিক চিত্র। পুলিশ জানিয়েছে, বহু মানুষ আহত হয়ে কাছাকাছি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালেই সব মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এই Bengaluru Stampede নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “এটি এক তরুণ ও উদ্যমী ভিড় ছিল। লাঠিচার্জে এই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।”
💔💔 Bengaluru, what have we done to turn this celebration into tragedy? It will haunt us more than any victory celebrations. Within 24 hours, we have to bear the pain of broken families.😢
Deepest condolences. Om Shanti. pic.twitter.com/uzcpZKley5
— Bengaluru Post (@bengalurupost1) June 4, 2025
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, “এই দুঃখজনক সময়ে, যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন তাঁদের পাশে রয়েছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”
এই (Bengaluru Stampede) দুর্ঘটনা দেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলির নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে ভিড় যে কীভাবে মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণিত হল।