বর্ষা এখনও ঠিকঠাক নামেনি, তার আগেই জল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে আশঙ্কার সুরে মন্তব্য করল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC)। এবার যদি বর্ষার শেষে প্রবল বৃষ্টি নামে, যেমনটা মুম্বই বা বেঙ্গালুরুতে হয়, তাহলে ডিভিসির বাঁধগুলো থেকে জল না ছেড়ে উপায় থাকবে না—এমনই জানিয়েছেন ডিভিসির (DVC) চেয়ারম্যান সুদেশ কুমার। তাঁর মতে, হাওড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলার বাসিন্দাদের ফের জলপথে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ডিভিসির (DVC) চেয়ারম্যান বলেন, ২৬ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ২৯ মে সেচমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জল ছাড়ার সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, যেন ৫০ হাজার কিউসেকের বেশি জল না ছাড়া হয়। সেই অনুরোধ মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে বর্ষার শেষে হঠাৎ বৃষ্টি বাড়লে সেই নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত বছরের অভিজ্ঞতা টেনে আনেন সুদেশ কুমার (DVC)। বলেন, “গভীর নিম্নচাপের কারণে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল ঝাড়খণ্ডে। তখন আমরা বাধ্য হয়ে প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছিলাম। সেটা নিয়ে রাজ্য সরকার আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের হাতে ছিল না।”
আরেকটি বড় সমস্যা হল বাঁধগুলোর পলি জমে যাওয়া। মুখ্যমন্ত্রী বারবার এই বিষয়ে বললেও, ডিভিসির দাবি—ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে পলি তোলা হচ্ছে না। ফলে চারটি বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা ৩৪-৩৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। আর সেটাই বিপদের মূল। তিনি বলেন, বর্ষা শেষে আবার পলি তোলার কাজ জোরকদমে শুরু করা হবে।
এখন দেখার বিষয়, আগামী দিনে ডিভিসির জল রাজ্যবাসীর ঘুম কেড়ে নেয় কি না।