Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • ভিডিও ডিলিট করেও রক্ষা নেই! পুলিশি জেরায় তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা বিক্রমজিৎ
জেলা

ভিডিও ডিলিট করেও রক্ষা নেই! পুলিশি জেরায় তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা বিক্রমজিৎ

Email :15

বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা (Birbhum) বিক্রমজিৎ সাউ বুধবার খুব ভোরে গোপনে হাজিরা দিলেন সিউড়ি থানায়। জানা গেছে, সকাল ৬টারও আগে তিনি থানায় (Birbhum) পৌঁছে যান, যাতে কাউকে বুঝতে না দেওয়া যায়।

সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়, যেখানে কুকথা শোনা যায়। তার পরই বিক্রমজিৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বোলপুর থানার (Birbhum) আইসি লিটন হালদারকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। তিনি বলেন, “ক্ষমতা থাকলে অনুব্রতর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।” সেই সঙ্গে দাবি করেন, লিটনের নানা ‘দুর্নীতির’ প্রমাণ নাকি তাঁর কাছে রয়েছে। এখানেই শেষ নয়—লিটনের পরিবার নিয়েও অশালীন মন্তব্য করেন বিক্রমজিৎ।

ভিডিওটি ভাইরাল হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে (Birbhum) । তৃণমূল কংগ্রেস দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বিক্রমজিৎকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে। নিজের অবস্থান বুঝে দ্রুত সেই ভিডিও মুছে দেন বিক্রমজিৎ, কিন্তু ততক্ষণে জল অনেক দূর গড়িয়েছে।

এই ঘটনার জেরে পুলিশ অনুব্রতর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করে। পরে বিক্রমজিতের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরেই তাঁকে থানায় হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠায় সিউড়ি থানার পুলিশ।

নির্ধারিত দিনে, অর্থাৎ বুধবার ভোরে সবার নজর এড়িয়ে তিনি হাজিরা দেন। থানায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিক্রমজিৎ ভিডিওতে যেসব অভিযোগ তুলেছিলেন, যেমন বোলপুর থানার আইসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণের কথা বলেছিলেন—তা তাঁকে জমা দিতে বলা হয়।

তবে, এই গোটা বিষয়টি এত গোপনীয়ভাবে করা হল কেন, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। অনেকেই বলছেন, একজন বিতর্কিত নেতার থানায় হাজিরা দেওয়ার বিষয়টি সাধারণত প্রকাশ্য হয়—এভাবে লুকিয়ে আসা-যাওয়ার কারণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts